Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
সাটুরিয়া মখশবিল, কালিয়াকৈর
স্থান
বড়ইবাড়ী বাজার সংলগ্ন স্থানে বিশাল এলাকা জুড়ে মখশ বিল
কিভাবে যাওয়া যায়
কালিয়াকৈর হতে বাসযোগে বড়ইবাড়ী বাজার সংলগ্ন স্থান। গাজীপুর হতে বাস যোগে মেৌচাক হয়ে বড়ইবাড়ী বাজার সংলগ্ন। ফুলবাড়ীয়া হতে বাস যাগে জামালপুর চেৌরাস্তা হয়ে বড়ইবাড়ী
বিস্তারিত

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) : গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠা শিল্পকারখানা থেকে নির্গত বর্জ্য পানিতে বিষাক্ত হয়ে পড়েছে কালিয়াকৈরের ঐতিহ্যবাহী মকশ বিল। শিল্প-কারখানাগুলো তাদের বর্জ্য পদার্থ রিফাইন না করে সরাসরি ঐ বিলে ঢেলে দেয়ায় বিলের ফসলী জমিসহ আশপাশের পরিবেশ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

উপজেলার সফিপুর, চান্দরা শিল্পাঞ্চলে গড়ে উঠা ২টি ট্যানারি ১টি এ্যালুমিনিয়াম ও ২ শতাধিক নিটিং ও ডাইং মিলের পরিত্যক্ত বিষাক্ত রাসায়নিক বর্জ্য, বিভিন্ন রং এবং কেরোসিন মিশানো কালো পানি এবং চান্দরার এপেক্স ট্যানারির লবণাক্ত পানি এই বিলের উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় প্রায় সর্বক্ষণ বিলের ফসলী জমির মাটি কালো, ফাঁপা অবস্থায় থাকে এবং এ কারণে জমিতে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। লোকমুখে শোনা যেত, ‘‘বাংলাদেশের একদিনের খাবার মকশ বিলে জন্মে।’’ কিন্তু বর্তমানে শিল্পবর্জ্যের কারণে কোন ফসলই হচ্ছে না। এ ব্যাপারে জনৈক কৃষক কালাম জানান, মিলের কেরোসিনের পানিতে সবসময় ফসলের জমি ভিজা থাকে। তাই বোরো ধানের ফলন বন্ধ হওয়ার পথে। মিলের মালিকরা তো ধান চাষ করে না তাই আমাদের সফলী জমি নষ্ট করে এ বিলের অবস্থা এরকম করেছে। এক সময় শনিবার/মঙ্গলবার রাতে এ বিলে মাছ ধরার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত জেলেরা হৈ-চৈ শব্দে আশপাশের ৩/৪ গ্রামের মানুষ ঘুমাতে পারতো না। অথচ এখন এ বিলের মাছ পাওয়াটাও দুষ্কর হয়ে পড়েছে। বর্জ্য পদার্থের প্রভাবে মাছের রেণু নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে মাছের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এ বিলের মাছে শুধু কেরোসিনের গন্ধ বলে আশপাশের মানুষ মাছ খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। ঐতিহ্যবাহী বিলটি পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে এলাকার ভুক্তভোগীরা বহুবার প্রতিবাদ করেও কোন সুরাহা পায়নি। এ ব্যাপরে পরিবেশ মন্ত্রণালয় দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে অদূর ভবিষ্যতে এলাকার পরিবেশ মারাত্মক ক্ষতির আশংকা করছেন অভিজ্ঞ মহল। গুঞ্জন ওঠেছে মকশ বিলে আর ফসল উৎপাদন আগের মতো না হওয়ার অজুহাত দেখিয়ে একটি গ্রুপ স্বল্পমূল্যে জমি কিনে নিয়ে ভরাট করার পাঁয়তারা চালাচ্ছেন। এব্যাপারে কালিয়াকৈর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ দিলরুবা আখতার জানান, ফসলী জমি নষ্ট হওয়া সত্ত্বেও কৃষি বিভাগের কৃষকদের সচেতন করা ছাড়া কিছুই করার নেই, শিল্পকারখানার বর্জ্যের ব্যাপারে পরিবেশ অধিদফতর এবং স্থানীয় প্রশাসন জোরালো পদক্ষেপ নিলে ফসলী জমি নষ্ট হওয়ার হাত থেকে অনেকটা রক্ষা পেতে পারে।